Song and Poems

Meghmi



তুই মেঘের মতো নাম নিয়ে, মেঘ হয়ে গেলি
আকাশ দিয়ে উড়িস তবু, কেন আমায় ছুঁলি
হঠাৎ করে জল ছিটিয়ে, কেন জ্ঞান ফেরালি
ফেরালি যদি, ফিরিয়ে দিয়ে, কেন মিলিয়ে গেলি
বল মেঘ মি বল মেঘ মি বল মেঘ মি।


বলে গেল আরো যতজন ঝিমোচ্ছে
ভালোবাসার অভাবে
আমি বৃষ্টি ভিজিয়ে জাগাবো তাদের
একান্ত আপন স্বভাবে
আমি আসব আবার, কেঁদে বারবার,
হলে  নিস্তেজ
তোকে বৃষ্টি ভিজিয়ে, জ্বর বাঁধিয়ে,
উষ্ণতায় করব সতেজ।


She is down to earth, She cares the heart.
She knows to love, How much to love.
She is totally nonpareil, She feels me So high.



ও অদ্ভুত, ও অসাধারণ, ও এলোমেলো কালবৈশাখী
স্বর্গ থেকে নেমে আসা অস্পৃশ্য ওষধি
যেই ওর চোখে তাকাই, আমি অন্ধকূপে হারাই
কার দিব্যি ছিল জানিনা তাই, ঐ মিসিবাবাকেই চাই।


ওর আর্দ্র ঠোঁটে আলতো করে পিছলে যাওয়া
আমার দিনলিপিতে কালের হদিস হারিয়ে যাওয়া
কিছু আলাপেই, কিছু স্বভাবেই হৃদয় চিরে ছিল
ভালোবাসতে শিখিয়ে সে নিজেই হারালো।


She is down to earth, She cares the heart.
She knows to love, How much to love.
Today She has disappeared and makes me cry.

বেশ্যারও মন থাকে


গণমাধ্যমে পরিচয়, বন্ধুত্ব তার দিক থেকে
খুবই তাড়াতাড়ি ঘনিষ্ঠ, এলোমেলো, বিছানাতে
যেন হঠাৎ হড়কা বান, মরুভূমিতে ....
কে দোষী বিচার করিনি, কে ঋণী তাও জানিনা,
স্রোতের সাথে বয় সম্পর্ক, আগে জানতাম না,
চলেছিল ঝগড়া-শান্তিতে, প্রায় বছর দু-এক মাস
চালবাজিতে বিদায় দিলো, তাই এই ইতিহাস
প্রতি মিলনেই শুনতে হতো, তার গর্বের কথা
প্রতি কথাতেই ফুটে উঠতো, আমার ব্যর্থতা
কোন বিছানায় কতভাবে, শুনিয়েছি নিজেকে
ফোন রেখে দিলে সম্মুখীন, সোজা বিছানাতে ।


বলেছিলো সব গুপ্ত রেখো, সোজা বিয়েতেই চমক
আমি গোবেচারা বুঝিনি তাই, এ পরোক্ষ ধমক
পরে জেনেছি আমি নাকি, অমুকের পরিবর্তে
ভদ্র নারী জানতো ঠিক, আমায় পুষে রাখতে।


হঠাৎ সেদিন ফোন বাজলো, ভারী কন্ঠে হ্যালো
অস্থির ছিলো আমার মন, কুকুর কাঁদছিল
ওপারের কন্ঠে সোজা-সাপটা আমার বিয়ে ঠিক
ছিবড়ে করে শরীর মন, ডাস্টবিনে ফেলে দিলো


এখনো আমি ঘুমোতে পারি না, দুঃস্বপ্ন ডাকে
কাঁধে হাত রেখে বলে আমায়, বেশ্যারও মন থাকে
বাবুকে যেমন আগলে রাখে, কাজের সময়ে
কাজ শেষ হলে ছুঁড়ে দিয়ে, খিস্তি মারে তাকে
বাবু ...... বেশ্যারও ..মন থাকে।.


আজকে সে রাজকন্যা সেজেছে নিটোল সতী
মাথা চাপড়াই, মাথায় দাপায় আমার সংস্কৃতি
শাসানি দিতে এরপর হাজির এক দজ্জাল দালাল
সাহস করে সত্যি বললে নাকি চূড়ান্ত বাওয়াল।


শুনুন মাসিমা বাওয়াল দেবেন না,
পারলে পুঁতে দিন মাটিতে
যতদনি এ প্রাণ থাকবে
সত্যিটা মুখে মুখে

যান্ত্রিকতা


এত যান্ত্রিকতা, এত জটিলতা, এত কুটিলতা কমছে কই
আহা যান্ত্রিকতা, আহা মিথ্যে কথা, আমার শিরায় হাসছে চিঠির সই
আমি আর থাকছি না, ফেসবুক করছি না।
সিম খুলে রেখে দেবো, ফোন use করছি না।
কিছু না না না আর নানা নানা কিছু না-
আমি ফের চিঠিতে ফিরতে চাই
যত ইমেল- জিমেল ফিমেল
ভুলে ভালোবেসেছিলেম
আমি আর ফিরবোনা-
হস্তাক্ষরে হারাতে চাই -
যত ভালো ভালোবাসার কাগজ
আজ জন্ডিস যখন মগজ
জীর্ণতায় মিশে পত্র তাই
বিদেশী আদপে ট্যাগ করে যাই।
হাসছে চোখ, কাঁপছে বুক
খবরের বুকে স্যাটেলাইট
হস্তাক্ষর আর কী বোর্ডের মাঝে
জমছে যত Revenge ফাইট।

অসহিষ্ণুতা


কত শতবার, জ্বলে পুড়ে আবার, ছাই দিয়ে বানিয়েছি নিজেকে।
দুঃসংবাদ, আমাকে রোখা, যমরাজও ভয় পায় আমাকে
ন্যাকা প্রেমট্রেম চাইনি চাইনা, সামনে সত্যের আয়না
মিথ্যের চোখে আঙুল গুঁজে, দেখাবো সারা দুনিয়া ।


শিক্ষা-উন্নয়ন সবই আজ, আসলে নাম কে ওয়াস্তে
শিক্ষক নিলে ছাত্রীর শরম, লোকে বলে চুপ থাকতে
ভন্ড সাধু খুলেছে আশ্রম, লক্ষাধিক মহিলা ভক্ত
আসলে এসব দেখনদারী, মোদ্দা গরম বিছানাতে।
ছোট্ট শিশু পাচ্ছে স্কুলে কাঁকড়- ভর্তি Midday-র চাল।
সাম্প্রয়ায়িকতার ত্রিশূল, ছিঁড়েছে মানবতার বেড়াজাল


আসাম চাইছে বাঙালী নিধন, গোর্খা নিজ রাজ্য
লেজটা ধরে অনেকেই চায়, নিজ নিজ সাম্রাজ্য
হাসপাতালে শিশু পাচার, নারী কিশোরী সীমান্তে
কন্যা ভ্রূণ হত্যা হলেও, খেয়ে দেয়ে তা ধিন ধিনান্তে
তোমরা শান্তিতে ঘুমোও, নাকে দিয়ে সরষের তেল
সহিষ্ণুতা আমার আসে না, বিদ্রোহ সকাল-বিকেল
প্রতিবাদী আমি জন্মগত, এখনো চলছে তাই
By chance যদি ভেজালের মাঝে একটু খাঁটি পাই।


এদেশের রাত শুধু মাতালের, সুস্থ মানবীর নয়
চিৎকার শুনলে ধর্ষিতার, পুরুষত্বে দ্বিধা হয়
কেরালার নারী দশ সে পঁচাশ, মন্দিরে জায়গা নেই
অচেনা বন্ধু, মাদক দ্রব্য, কিডনিটা বেচবেই।


কোটি কোটি টাকা উড়ছে লুটছে, কৃষক আত্মঘাতী
M.A., B.A. পাশ চালায় পেট, পানের দোকান খুলে
Politician শুধু চেনে গদী, জনতা মূৰ্চ্ছা যাক
সীমান্তে কত সেনারা শহীদ, সবাই ভুলে থাক।


বলতেই পারো ইনসমনিয়াক, ঘুম আসে না এর পরে
বলতেই পারো দেশদ্রোহী, ঢুকিয়ে কারাগারে
বলতেই পারো পাগল ছাগল, পাত্তা দিওনা মালটাকে
শরীরে বইছে নেতাজী রক্ত, দেখব শনি কেতু
কার ঘাড়ে।